সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল খান দেশের প্রতি অবিস্মরণীয় ভালোবাসা দেখিয়েছেন । সপ্তায় ৭ দিন সে রূপগঞ্জে থাকতো। তার পছন্দের বাড়িতে গিয়ে খাবার খেতো। মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বলতো, শেখ হাসিনার কথা বলতো, রূপগঞ্জের উন্নয়নের কথা বলেছে। চেয়ারম্যান ,মেম্বারদের সাথে কথা বলেছে। কার কি সমস্যা আছে তা আমাকে জানা তো ,ইউএনও জানাতো । আমরা চেষ্টা করতাম সেই সমস্যা সমাধান করার। সে সবার ভালোবাসা পেয়েছে। রূপগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ তার প্রশংসা করেছে। তার কোনো লোভ ছিলো না। সে আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী ছিলেন। সেই পাকিস্থান আমল থেকে আমরা এক সাথে। একজন মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন হলে অন্য এলাকায় কত কি করে। তার মধ্যে সেটা ছিলো না। সে বলতো জোর করে ভোট আদায় করা যায় না। ভোট পেতে চাইলে মানুষের সাথে মিশতে হয়। আমি আগে বুঝিনি, যখন হারিয়ে গেল তখন বুঝলাম সে কি জিনিস। তার পরিবার যেনো ভালো থাকে সেই ব্যবস্থা আমি করবো। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন, তার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আগামী নির্বাচনের জন্য সে নৌকার পক্ষে কাজ করতে শুরু করেছিলো। ছেলে-মেয়েদেরকে ভোটার হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছে। তার চলে যাওয়ায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সবাইকে তার মতো নিরলোভ মানুষ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
শুক্রবার (১৩ মে ) সকালে রূপসী গাজী ভবনে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত মরহুম জামাল খানের স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এসব কথা বলেন।
এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল হক, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা এমায়েত হোসেন, মতি আকন্দ, আলহাজ¦ তাবিবুল কাদির তমাল, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শীলা রানী পালসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।